নবজাতকের নাভির যত্ন

নবজাতকের নাভির যত্ন 

নবজাতকের নাভির যত্ন নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি নবজাতকের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয়। নাভির যত্ন নেওয়ার কিছু গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশিকা নিচে দেওয়া হলো:

১. পরিষ্কার রাখুন

•নাভি শুকিয়ে না যাওয়া পর্যন্ত তা পরিষ্কার ও শুকনো রাখুন।

•গরম পানিতে ভেজানো নরম কাপড় বা তুলা দিয়ে নাভি পরিষ্কার করুন। এরপর নরম তোয়ালে দিয়ে শুকিয়ে নিন।

•সাবান বা অ্যান্টিসেপটিক ব্যবহার না করাই ভালো, যদি না ডাক্তার পরামর্শ দেন।

২. শুকনো রাখুন

•নবজাতকের নাভির চারপাশে বেশি প্যাডিং বা কাপড় না রাখুন।

•নাভিতে পানি ঢালার প্রয়োজন নেই। গোসল করানোর সময় নাভি ভেজে গেলে দ্রুত শুকিয়ে নিন।

৩. ডায়াপার ঠিকভাবে ব্যবহার করুন

•ডায়াপার নাভি থেকে নিচে বাঁধুন যাতে নাভি পরিষ্কার ও শুষ্ক থাকে।

•নাভি ভিজে গেলে বা ময়লা হলে তা সঙ্গে সঙ্গে পরিষ্কার করুন।

৪. নাভি পড়ে গেলে খেয়াল রাখুন

•নাভির গোড়াটি সাধারণত ১-৩ সপ্তাহের মধ্যে পড়ে যায়।

•পড়ে যাওয়ার পরও নাভি শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত যত্ন নিতে হবে।

৫. সংক্রমণের লক্ষণ পর্যবেক্ষণ করুন

নাভির চারপাশে যদি নিচের লক্ষণগুলো দেখা যায়, তবে দ্রুত ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন:

•লালচে হওয়া বা ফোলা।

•দুর্গন্ধ বের হওয়া।

•পুঁজ দেখা।

•নবজাতকের জ্বর বা অস্বাভাবিক আচরণ।

৬. অতিরিক্ত কিছু করবেন না

•নাভিতে তেল, পাউডার বা অন্য কোনো কিছু লাগাবেন না, যদি না ডাক্তার পরামর্শ দেন।

•নাভি টানাটানি করবেন না। এটি স্বাভাবিকভাবে পড়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।

নাভির সঠিক যত্ন নবজাতকের সংক্রমণ প্রতিরোধে সাহায্য করবে এবং তাদের সুস্থ রাখবে।

ডাঃ এস, এম, নাজমুল ইসলাম
এমবিবিএস,  এমএস( শিশু সার্জারী)
মেম্বার হাইপোসপেডিয়াস ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি
পেডিয়েট্রিক ইউরোলজি ট্রেনিং(ইন্ডিয়া)
ইউরোলজি ট্রেনিং ( BSMMU )
শিশু-কিশোর সার্জারী বিশেষজ্ঞ  ও শিশু ইউরোলোজিস্ট
সহকারী অধ্যাপক
বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইন্সটিটিউট।
Hotline: 01777331511
www.drnazmulislam.com
চেম্বারঃ ১
অ্যালায়েন্স হসপিটাল লিমিটেড
২৪/৩ খিলজী রোড (রিং রোড)
শ্যামলী, ঢাকা-১২০৭
রুগি দেখার সময়ঃ বিকাল ৫:০০ – সন্ধ্যা ৭: ০০টা।
(শুক্রবার ছাড়া প্রতিদিন)
জন্মগত / গায়েবানী মুসলমানি (Glandular Hypospadias)

জন্মগত / গায়েবানী মুসলমানি (Glandular Hypospadias)

গায়েবানী মুসলমানি বলতে সাধারণত গ্ল্যান্ডুলার হাইপোস্পাডিয়াস বোঝায়, যা জন্মগত একটি অবস্থা। এতে শিশুর লিঙ্গের মূত্রনালী (urinary opening) স্বাভাবিক স্থানে না থেকে কিছুটা নিচের দিকে থাকে। এ কারণে অনেক ক্ষেত্রে মনে হতে পারে যে খৎনা (মুসলমানি) স্বাভাবিকভাবেই হয়ে গেছে।

১. হাইপোস্পাডিয়াস কী?

হাইপোস্পাডিয়াস হল এমন একটি জন্মগত অবস্থা যেখানে শিশুর লিঙ্গের মূত্রনালী সঠিক স্থানে না থেকে লিঙ্গের নিচের অংশে অবস্থান করে। সাধারণত লিঙ্গের মাথার ঠিক মাঝখানে ছিদ্র থাকার কথা, কিন্তু হাইপোস্পাডিয়াস থাকলে তা নিচে চলে যায়।

✅ গ্ল্যান্ডুলার হাইপোস্পাডিয়াস: এটি হাইপোস্পাডিয়াসের সবচেয়ে হালকা ধরণ, যেখানে ছিদ্রটি লিঙ্গের অগ্রভাগে থাকে তবে নিচের দিকে।
✅ করোনাল, পেনাইল ও পেনোস্ক্রোটাল হাইপোস্পাডিয়াস: এগুলো অপেক্ষাকৃত গুরুতর অবস্থার মধ্যে পড়ে।

২. গায়েবানী মুসলমানির কারণ কী?

এটি মূলত জন্মগত একটি সমস্যা, যা সাধারণত শিশুর ভ্রূণ অবস্থায় লিঙ্গের গঠনে কিছু পরিবর্তনের কারণে হয়।

মূল কারণসমূহ:

✔ হরমোনের ভারসাম্যহীনতা: গর্ভাবস্থায় শিশুর টেস্টোস্টেরন হরমোনের পরিমাণ কম হলে লিঙ্গের গঠন সঠিকভাবে হয় না।
✔ জেনেটিক কারণ: যদি পরিবারের কারও আগে এই সমস্যা থেকে থাকে, তাহলে এটি শিশুর মধ্যেও আসতে পারে।
✔ পরিবেশগত কারণ: গর্ভাবস্থায় কিছু রাসায়নিক বা ওষুধের প্রভাব শিশুর লিঙ্গের বিকাশে বাধা দিতে পারে।
✔ অপর্যাপ্ত টিস্যু বৃদ্ধি: লিঙ্গের অগ্রভাগের টিস্যুগুলো সঠিকভাবে না বাড়লে মূত্রনালী নিচের দিকে থাকতে পারে।

৩. গায়েবানী মুসলমানির লক্ষণ ও চিহ্ন

✅ লিঙ্গের ছিদ্র স্বাভাবিক স্থানে না থেকে নিচের দিকে থাকে।
✅ প্রস্রাব করার সময় মূত্রের প্রবাহ সামান্য বাঁকা হতে পারে।
✅ লিঙ্গের সামান্য বাঁক থাকতে পারে, যদিও এটি গুরুতর না হলে তেমন সমস্যা হয় না।
✅ অনেক ক্ষেত্রে খৎনা (circumcision) না করলেও মনে হয় যে খৎনা হয়ে গেছে।

৪. সমস্যাগুলো কী হতে পারে?

যদি হালকা হয় (গ্ল্যান্ডুলার হাইপোস্পাডিয়াস), তাহলে সাধারণত কোনো সমস্যা হয় না। তবে কিছু ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে—

✅ শিশুদের ক্ষেত্রে:
• প্রস্রাবের প্রবাহ ঠিকমতো না হওয়া।
• লিঙ্গের সামান্য বাঁক থাকা।

✅ প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে:
• ভবিষ্যতে যৌনজীবনে সমস্যা হতে পারে (যদি লিঙ্গের বাঁক গুরুতর হয়)।
• সন্তান জন্মদানের ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা হতে পারে (খুব গুরুতর অবস্থায়)।
• ব্যক্তিগত ও মানসিক অস্বস্তি তৈরি হতে পারে।

৫. গায়েবানী মুসলমানির চিকিৎসা ও সমাধান

চিকিৎসা দরকার হয় কি না?

✔ যদি মূত্রনালী খুব সামান্য নিচে থাকে এবং কোনো সমস্যা না হয়, তাহলে চিকিৎসার দরকার নেই।
✔ যদি প্রস্রাবের সমস্যা হয় বা লিঙ্গের বাঁক বেশি থাকে, তাহলে চিকিৎসা করা দরকার।

চিকিৎসার ধাপ:

✅ নিরীক্ষা: শিশুর জন্মের পর ডাক্তার পরীক্ষা করে দেখেন যে এটি কোনো গুরুতর সমস্যা সৃষ্টি করছে কিনা।
✅ সার্জারি (প্রয়োজন হলে):
1️⃣ মূত্রনালীর ছিদ্র ঠিক করা হয় (Urethroplasty)।
2️⃣ যদি লিঙ্গ বাঁকা থাকে, তবে সেটিও ঠিক করা হয়।
3️⃣ সাধারণত ৬ মাস থেকে ২ বছরের মধ্যে সার্জারি করা হয়।
4️⃣ সার্জারির পর শিশুর প্রস্রাবের স্বাভাবিক গতি ফিরে আসে।

সার্জারির পরে করণীয়:

✔ শিশুকে ১-২ সপ্তাহ বিশেষ যত্নে রাখা হয়।
✔ ডাক্তার কিছু ওষুধ ও ব্যথানাশক দিতে পারেন।
✔ প্রস্রাবের নালি সঠিকভাবে কাজ করছে কিনা, তা পর্যবেক্ষণ করা হয়।

৬. সার্জারি ছাড়া কি এটি ঠিক হয়?

✔ যদি খুব হালকা হয় এবং কোনো সমস্যা না হয়, তাহলে সার্জারি প্রয়োজন হয় না।
✔ তবে যদি প্রস্রাব করতে সমস্যা হয় বা ভবিষ্যতে জটিলতা দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা থাকে, তাহলে ডাক্তার সার্জারির পরামর্শ দিতে পারেন।

৭. ভবিষ্যতে সমস্যা এড়ানোর উপায়

✅ গর্ভাবস্থায় মায়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখা ও চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া।
✅ যদি জন্মের পর লিঙ্গের গঠনে অস্বাভাবিকতা দেখা যায়, তাহলে দ্রুত ডাক্তারকে দেখানো।
✅ শিশুর লিঙ্গ পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্ন রাখা, যাতে সংক্রমণ না হয়।

ডাঃ এস, এম, নাজমুল ইসলাম
এমবিবিএস,  এমএস( শিশু সার্জারী)
মেম্বার হাইপোসপেডিয়াস ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি
পেডিয়েট্রিক ইউরোলজি ট্রেনিং(ইন্ডিয়া)
ইউরোলজি ট্রেনিং (BSMMU)
নবজাতক, শিশু-কিশোর সার্জারী বিশেষজ্ঞ 
সহকারী অধ্যাপক
বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইন্সটিটিউট।
Hotline: 01777331511
www.drnazmulislam.com

চেম্বারঃ
অ্যালায়েন্স হসপিটাল লিমিটেড
২৪/৩ খিলজী রোড (রিং রোড)
শ্যামলী, ঢাকা-১২০৭
রুগি দেখার সময়ঃ বিকাল ৫:০০ – সন্ধ্যা ৭: ০০টা।
(শুক্রবার ছাড়া প্রতিদিন)

হাইপোসপেডিয়াস(Hypospadias) কেন হয়?

হাইপোস্পাডিয়াস হলো একটি জন্মগত অবস্থা, যেখানে ছেলেশিশুর মূত্রনালীর ছিদ্র (মেআটাস) পুরুষাঙ্গের আগার স্বাভাবিক জায়গায় না থেকে নিচের দিকে থাকে। এটি হালকা থেকে গুরুতর হতে পারে।
হাইপোস্পাডিয়াস কেন হয়?

এর সঠিক কারণ সম্পূর্ণ নির্দিষ্ট নয়, তবে কিছু কারণ এই সমস্যার ঝুঁকি বাড়াতে পারে—
1. জেনেটিক (Genetic) কারণ:
• পরিবারের কারও আগে এই সমস্যা থাকলে শিশুর হাইপোস্পাডিয়াস হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
2. হরমোনজনিত সমস্যা:
• গর্ভাবস্থায় টেস্টোস্টেরন বা অন্যান্য হরমোনের ভারসাম্য ঠিক না থাকলে শিশুর জননাঙ্গের স্বাভাবিক বিকাশ ব্যাহত হতে পারে।
3. পরিবেশগত কারণ:
• কিছু রাসায়নিক পদার্থ, যেমন এন্ডোক্রাইন ডিজরাপ্টর (Endocrine Disruptors), যা প্লাস্টিক, কীটনাশক বা প্রসাধনীতে থাকতে পারে, তা গর্ভস্থ শিশুর বিকাশে প্রভাব ফেলতে পারে।
4. মায়ের বয়স ও স্বাস্থ্য:
• বেশি বয়সে মা হওয়া, ডায়াবেটিস বা গর্ভাবস্থায় কিছু ওষুধ সেবন করলে ঝুঁকি বাড়তে পারে।
5. অজ্ঞাত কারণ:
• অনেক ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কোনো কারণ খুঁজে পাওয়া যায় না।

চিকিৎসা:

হাইপোস্পাডিয়াস সাধারণত সার্জারির মাধ্যমে ঠিক করা যায়, এবং এটি শিশুর প্রস্রাব করার ও ভবিষ্যতে যৌন কার্যকারিতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।

ডাঃ এস, এম, নাজমুল ইসলাম
এমবিবিএস,  এমএস( শিশু সার্জারী)
মেম্বার হাইপোসপেডিয়াস ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি
পেডিয়েট্রিক ইউরোলজি ট্রেনিং(ইন্ডিয়া)
ইউরোলজি ট্রেনিং (BSMMU)
নবজাতক, শিশু-কিশোর সার্জারী বিশেষজ্ঞ 
সহকারী অধ্যাপক
বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইন্সটিটিউট।
Hotline: 01777331511
www.drnazmulislam.com

চেম্বারঃ
অ্যালায়েন্স হসপিটাল লিমিটেড
২৪/৩ খিলজী রোড (রিং রোড)
শ্যামলী, ঢাকা-১২০৭
রুগি দেখার সময়ঃ বিকাল ৫:০০ – সন্ধ্যা ৭: ০০টা।
(শুক্রবার ছাড়া প্রতিদিন)

শিশুসার্জন #শিশুসার্জারি #শিশু_ইউরোলজি

day_care_surgery #circumcision #best_pediatric_surgeon

nazmul #খতনা #খাতনা  #শিশুহাসপাতাল#congenitalঅনমালি

drnazmul #ডাঃ_নাজমুল

হার্নিয়া #হার্নিয়ালক্ষণ #মুসলমানি #Hypospadias #হাইপোসপেডিয়াস #শিশুহাসপাতাল #শিশু_ইউরোলোজিস্ট

pediatric_urology

জিহ্বা বন্ধন (Tongue-tie)

জিহবা জড়তা/ টাং টাই (Tongue Tie)

জিহ্বা বন্ধন বা “এনকিলোগ্লোসিয়া (Ankyloglossia)” হলো একটি জন্মগত সমস্যা, যেখানে জিহ্বার নিচের অংশের ফ্রেনুলাম (একটি ছোট টিস্যু ব্যান্ড) স্বাভাবিকের চেয়ে ছোট বা শক্ত হয়। ফলে জিহ্বার নড়াচড়া সীমিত হয়ে যায়।

লক্ষণ:

১. শিশুদের ক্ষেত্রে:

মায়ের বুকের দুধ ভালোভাবে চুষতে না পারা

দুধ পান করার সময় চট করে ক্লান্ত হয়ে যাওয়া

দুধ পান করতে গিয়ে অস্বস্তি বা কান্না করা

  1. শিশু ও বড়দের ক্ষেত্রে:

জিহ্বা সহজে উপরে বা পাশে নড়াতে না পারা

জিহ্বা বাইরে বের করতে অসুবিধা হওয়া

“ল” বা “র” উচ্চারণ করতে সমস্যা হওয়া

খাওয়ার সময় কিছু খাবার চিবিয়ে খেতে অসুবিধা হওয়া

বাড়িতে কীভাবে পরীক্ষা করা যায়?

✅ জিহ্বা বের করে দেখতে বলো। যদি সে জিহ্বা পুরোপুরি বাইরে আনতে না পারে, তাহলে Tongue-tie থাকতে পারে।
✅ জিহ্বা দিয়ে উপরের তালু স্পর্শ করতে বলো। যদি এটি করতে অসুবিধা হয়, তাহলে এটি একটি ইঙ্গিত হতে পারে।
✅ “ল”, “র”, “ট” ধ্বনি উচ্চারণ করাতে চেষ্টা করো। যদি সমস্যা হয়, তাহলে Tongue-tie থাকতে পারে

কারণ:

জিহ্বার নিচের ফ্রেনুলাম সাধারণত ভ্রূণ অবস্থায় আলগা হয়ে যায়, কিন্তু কিছু শিশুর ক্ষেত্রে এটি আলগা না হয়ে শক্তভাবে লেগে থাকে, যার ফলে জিহ্বার নড়াচড়া বাধাগ্রস্ত হয়।

সমস্যার প্রভাব:

যদি এটি গুরুতর হয়, তাহলে—

শিশুদের ক্ষেত্রে দুধ খেতে অসুবিধা হয় এবং ওজন কমতে পারে।

বড়দের ক্ষেত্রে কথা বলা বা খাওয়া কিছুটা কঠিন হতে পারে।

চিকিৎসা:

সবসময় চিকিৎসার দরকার হয় না, কারণ অনেক শিশুর ক্ষেত্রে জিহ্বার বন্ধন স্বাভাবিকভাবে আলগা হয়ে যায়। তবে যদি সমস্যা বেশি হয়, তাহলে—

  1. ফ্রেনুলোটমি (Frenulotomy): এটি একটি ছোট্ট সার্জারি, যেখানে ডাক্তার একটি ছোট কাট দিয়ে জিহ্বাকে মুক্ত করে দেন।

ডাঃ এস, এম, নাজমুল ইসলাম
এমবিবিএস,  এমএস( শিশু সার্জারী)
মেম্বার হাইপোসপেডিয়াস ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি
পেডিয়েট্রিক ইউরোলজি ট্রেনিং(ইন্ডিয়া)
ইউরোলজি ট্রেনিং (BSMMU)
নবজাতক, শিশু-কিশোর সার্জারী বিশেষজ্ঞ 
সহকারী অধ্যাপক
বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইন্সটিটিউট।
Hotline: 01777331511
www.drnazmulislam.com

চেম্বারঃ
অ্যালায়েন্স হসপিটাল লিমিটেড
২৪/৩ খিলজী রোড (রিং রোড)
শ্যামলী, ঢাকা-১২০৭
রুগি দেখার সময়ঃ বিকাল ৫:০০ – সন্ধ্যা ৭: ০০টা।
(শুক্রবার ছাড়া প্রতিদিন)

শিশুসার্জন #শিশুসার্জারি #শিশু_ইউরোলজি

day_care_surgery #circumcision #best_pediatric_surgeon #Hypospadiascare

nazmul #খতনা #খাতনা #হাইপোসপেডিয়াস #শিশুহাসপাতাল#congenitalঅনমালি

drnazmul #ডাঃ_নাজমুল#Hypospadias

হার্নিয়া #হার্নিয়া_লক্ষণ #মুসলমানি #খতনা #অন্ডকোষ #hirschsprungsdisease

শিশুর বমি: vomiting

শিশুর বমি: কারণ, করণীয় ও প্রতিকার

শিশুর বমি সাধারণত স্বাভাবিক বিষয় হতে পারে, তবে কখনো কখনো এটি গুরুতর সমস্যার লক্ষণও হতে পারে।

🟠 শিশুর বমির সাধারণ কারণ:

১. অতিরিক্ত খাওয়া বা গ্যাসের সমস্যা
• নবজাতক বা ছোট শিশু যদি বেশি খেয়ে ফেলে, তাহলে দুধ বা খাবার হজম করতে না পেরে বমি করতে পারে।
• খাবারের পরপরই নড়াচড়া করলে বা ঝাঁকুনি লাগলে বমি হতে পারে।

২. ভাইরাস বা সংক্রমণ (Viral Gastroenteritis)
• শিশুর পেটে ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ (পেটের ইনফেকশন) হলে বমি হতে পারে।
• সাধারণত এই অবস্থায় পাতলা পায়খানা (ডায়রিয়া), জ্বর ও পেট ব্যথা দেখা দেয়।

3. খাদ্যে অ্যালার্জি বা অসহিষ্ণুতা
• কিছু শিশু গরুর দুধ, ডিম, সয়াবিন বা অন্যান্য খাবারের প্রতি সংবেদনশীল হতে পারে, যা বমির কারণ হতে পারে।

4. ফিডিং সমস্যা (Reflux বা GERD)
• ছোট শিশুদের ক্ষেত্রে পেটে থাকা খাবার ফিরে গলায় উঠে আসতে পারে, যাকে গ্যাস্ট্রোইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স (GERD) বলা হয়।

5. খাদ্যে বিষক্রিয়া (Food Poisoning)
• যদি শিশুর খাবারে ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাস থাকে, তবে বমির সঙ্গে ডায়রিয়া ও পেট ব্যথা হতে পারে।

6. অন্যান্য কারণ:
• জ্বর ও সর্দি-কাশির সময় শিশুর বমি হতে পারে।
• প্রস্রাবের ইনফেকশন, Septicemia, Meningitis
• অন্ত্রের বাঁধা (Intestinal Obstruction): যদি বমির রঙ সবুজ বা রক্ত মিশ্রিত হয়, তবে এটি মারাত্মক সমস্যা হতে পারে।
• Appendicitis

🟢 শিশুর বমি হলে করণীয়:

✅ সাধারণ বমির জন্য (যদি শিশুর অবস্থা গুরুতর না হয়)

✔ শিশুকে হাইড্রেট রাখুন:
• ORS (ওরাল রিহাইড্রেশন সলিউশন) বা স্যালাইন পানি দিন।
• বুকের দুধ খাওয়ান (যদি নবজাতক হয়)।

✔ খাবার ধীরে ধীরে দিন:
• চিনি ছাড়া ডাল বা ভাতের মাড় খাওয়ানো যেতে পারে।
• মসলা ও চর্বিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন।

✔ শিশুকে বিশ্রামে রাখুন:
• অতিরিক্ত নড়াচড়া করলে বমির প্রবণতা বাড়তে পারে।

✔ ধাপে ধাপে তরল দিন:
• বমি বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত খুব বেশি খাবার বা পানি একসাথে খাওয়াবেন না।

❌ যে বিষয়গুলো এড়িয়ে চলা উচিত:

🚫 একবারে অনেক খাবার খাওয়াবেন না।
🚫 বাজারের এন্টিবায়োটিক বা বমি বন্ধের ওষুধ ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া দেবেন না।

🔴 কখন ডাক্তার দেখাবেন?

👉 শিশুর বমির পাশাপাশি নিচের যেকোনো লক্ষণ থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যান:
• শিশু অতিরিক্ত দুর্বল বা পানি শূন্য (ডিহাইড্রেশন) হয়ে যাচ্ছে (শুকনো ঠোঁট, কান্নায় জল না আসা, প্রস্রাব কম হওয়া)।
• বমির রঙ সবুজ বা রক্ত মিশ্রিত।
• টানা ১২-২৪ ঘণ্টা ধরে বারবার বমি হচ্ছে।
• শিশুর পেট ব্যথা বেশি হচ্ছে বা পেট ফুলে যাচ্ছে।
• উচ্চ জ্বর (১০২°F বা তার বেশি) আছে।

🔹 উপসংহার:

✅ শিশু যদি সাধারণ কারণে বমি করে, তবে ওআরএস, পর্যাপ্ত পানি ও হালকা খাবার দিলেই ভালো হয়ে যায়।
🚨 কিন্তু যদি বমির রঙ অস্বাভাবিক হয়, দীর্ঘসময় ধরে চলে, বা অন্যান্য গুরুতর লক্ষণ থাকে, তাহলে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।

ডাঃ এস, এম, নাজমুল ইসলাম
পেডিয়েট্রিক ইউরোলজি ট্রেনিং(ইন্ডিয়া)
ইউরোলজি ট্রেনিং (BSMMU)
নবজাতক, শিশু-কিশোর সার্জারী বিশেষজ্ঞ
সহকারী অধ্যাপক
বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইন্সটিটিউট।
Hotline: 01777331511

চেম্বারঃ
অ্যালায়েন্স হসপিটাল লিমিটেড
২৪/৩ খিলজী রোড (রিং রোড)
শ্যামলী, ঢাকা-১২০৭

#শিশু_সার্জন #শিশু_সার্জারি #শিশু_ইউরোলজি
#day_care_surgery #circumcision #best_pediatric_surgeon #Hypospadiascare
#nazmul #খতনা #খাতনা #হাইপোসপেডিয়াস #শিশু_হাসপাতাল#congenital_অনমালি
#drnazmul #ডাঃ_নাজমুল#Hypospadias
#হার্নিয়া #হার্নিয়া_লক্ষণ #মুসলমানি #খতনা #অন্ডকোষ #hirschsprungsdisease #বমি #vomiting

হার্শপ্রাং ডিজিজ (Hirschsprung Disease)

হার্শপ্রাং রোগ (Hirschsprung’s Disease) কারন , লক্ষণ ও চিকিৎসা

হার্শপ্রাং ডিজিজ (Hirschsprung Disease) হলো একটি জন্মগত অন্ত্রের সমস্যা, যেখানে শিশুর বৃহৎ অন্ত্রের (কোলন) কিছু অংশ স্নায়ুকোষ (ganglion cells) ছাড়া থাকে। ফলে সেই অংশ মল সরানোর জন্য সংকোচন (peristalsis) করতে পারে না, যার কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য ও অন্ত্রের ব্লকেজ তৈরি হয়।

হার্শপ্রাং রোগের কারণ: ✅️

হার্শপ্রাং রোগের মূল কারণ হলো স্নায়ুকোষের (ganglion cells) অনুপস্থিতি, যা গর্ভাবস্থায় অন্ত্রের স্বাভাবিক বিকাশের সময় গঠিত হয় না।
• জেনেটিক কারণ:
• প্রায় ২০% ক্ষেত্রে এটি পারিবারিক বা বংশগত হয়ে থাকে।
• কিছু নির্দিষ্ট জিনগত পরিবর্তন (RET gene mutation) এই রোগের জন্য দায়ী।
• ডাউন সিনড্রোম (Down Syndrome) এবং অন্যান্য জেনেটিক ডিজঅর্ডারে আক্রান্ত শিশুদের মধ্যে হিরশস্প্রুং রোগ বেশি দেখা যায়।
• অন্ত্রের নার্ভের অসম্পূর্ণ বিকাশ:
• ভ্রূণের বিকাশের সময় ১০-১২ সপ্তাহের মধ্যে নার্ভ সিস্টেম তৈরি হয়।
• যদি স্নায়ুকোষ অন্ত্রের শেষ অংশ পর্যন্ত না পৌঁছায়, তবে সেই অংশ সংকুচিত হয়ে থাকে এবং স্বাভাবিকভাবে মল সরাতে পারে না।

হার্শপ্রাং রোগের লক্ষণ: ✅️

লক্ষণগুলো শিশুর বয়স অনুযায়ী ভিন্ন হতে পারে:

১. নবজাতকের ক্ষেত্রে:
• জন্মের ২৪-৪৮ ঘণ্টার মধ্যে মলত্যাগ না করা (Meconium Pass না হওয়া)
• পেট ফোলা ও শক্ত হয়ে যাওয়া
• বমি হওয়া (সবুজ বা হলুদ রঙের)
• খেতে না চাওয়া ও অতিরিক্ত কান্না করা

২. বড় শিশুর ক্ষেত্রে:
• দীর্ঘমেয়াদী কোষ্ঠকাঠিন্য (Chronic Constipation)
• পেট ব্যথা ও গ্যাস জমে থাকা
• মলত্যাগে কষ্ট ও পাতলা ডায়রিয়ার মতো মল (Overflow Diarrhea)
• ওজন কমে যাওয়া বা বেড়ে না ওঠা

৩. জটিলতা থাকলে:
• এন্টারোকোলাইটিস (Enterocolitis):
• অন্ত্রের মারাত্মক সংক্রমণ হতে পারে।
• লক্ষণ: উচ্চ জ্বর, রক্ত-মিশ্রিত পাতলা পায়খানা, পেট ব্যথা ও ফোলা
• জীবন-হানিকর হতে পারে, তাই জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন।

হার্শপ্রাং রোগের ডায়াগনোসিস (নির্ণয়): ✅️

১. এনামা এক্স-রে (Barium Enema X-ray):
• কোলনে ব্যারিয়াম ডাই প্রবেশ করিয়ে এক্স-রে করা হয়, যাতে ব্লকেজ ও সংকোচন ধরা পড়ে।

২. রেক্টাল ম্যানোমেট্রি (Rectal Manometry Test):
• অন্ত্রের রেক্টামে একটি বেলুন ঢুকিয়ে পরীক্ষা করা হয়, যেখানে স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া না থাকলে এটি হিরশস্প্রুং রোগের ইঙ্গিত দেয়।

৩. বায়োপসি (Rectal Biopsy) – সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য পরীক্ষা:
• অন্ত্রের ভেতর থেকে টিস্যু সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয়, যাতে নার্ভ কোষের অনুপস্থিতি নিশ্চিত করা যায়।

চিকিৎসা: ✅️

হার্শপ্রাং রোগের সার্জারি

এই রোগের একমাত্র কার্যকর চিকিৎসা হলো অস্ত্রোপচার (Surgery)।

১. পুল-থ্রু সার্জারি (Pull-through Surgery):
• আক্রান্ত অন্ত্রের অংশ কেটে ফেলে সুস্থ অংশকে সংযুক্ত করা হয়।
• বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এটি একবারেই কার্যকর হয়।

২. কোলস্টমি বা আইলিওস্টমি (Colostomy/Ileostomy) – গুরুতর ক্ষেত্রে:
• যদি শিশু মারাত্মক অসুস্থ হয়, তাহলে প্রথমে অন্ত্রের সুস্থ অংশকে পেটের বাইরে একটি ছিদ্রের (স্টোমা) মাধ্যমে সংযুক্ত করা হয়, যাতে মল সহজে বাহির হতে পারে।
• পরবর্তী সময়ে পুল-থ্রু সার্জারি করে অন্ত্রকে স্বাভাবিক করা হয়।

সার্জারির পর জীবনযাত্রা ও যত্ন: ✅️

১. খাদ্যাভ্যাস:

✔ প্রচুর পানি পান করানো – কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে সহায়ক।
✔ আঁশযুক্ত খাবার (ফল, সবজি, দই) – অন্ত্রের কার্যকারিতা বাড়াতে সাহায্য করে।
✔ দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার কমানো – কিছু শিশুর ক্ষেত্রে এগুলো কোষ্ঠকাঠিন্য বাড়ায়।

২. টয়লেট ট্রেনিং:

✔ নিয়মিত টয়লেট করার অভ্যাস গড়ে তোলা জরুরি।
✔ কিছু শিশু সার্জারির পর মল ধরে রাখতে কষ্ট পেতে পারে, তাই ধৈর্য ধরতে হবে।

৩. ইনফেকশন প্রতিরোধ:

✔ সার্জারির পর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ।
✔ ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়মিত ফলো-আপ করা।

হার্শপ্রাং রোগ থেকে সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা ✅️

✔ সঠিক চিকিৎসা পেলে বেশিরভাগ শিশু স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারে।
✔ কিছু ক্ষেত্রে সামান্য কোষ্ঠকাঠিন্য বা মল ধরে রাখার সমস্যা থাকতে পারে, তবে এটি চিকিৎসার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণযোগ্য।
✔ গুরুতর জটিলতা এড়াতে প্রাথমিক পর্যায়ে চিকিৎসা করানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ❇️❇️❇️

ডাঃ এস, এম, নাজমুল ইসলাম
পেডিয়েট্রিক ইউরোলজি ট্রেনিং (ইন্ডিয়া)
সহকারী অধ্যাপক
বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইন্সটিটিউট।
Hotline: 01777331511
www.drnazmulislam.com

চেম্বারঃ
অ্যালায়েন্স হসপিটাল লিমিটেড
২৪/৩ খিলজী রোড (রিং রোড)
শ্যামলী, ঢাকা-১২০৭
রুগি দেখার সময়ঃ বিকাল ৫:০০ – সন্ধ্যা ৭: ০০টা।
(শুক্রবার ছাড়া প্রতিদিন)

শিশুসার্জন #শিশুসার্জারি #শিশু_ইউরোলজি

day_care_surgery #circumcision #best_pediatric_surgeon #Hypospadiascare

nazmul #খতনা #খাতনা #হাইপোসপেডিয়াস #শিশুহাসপাতাল#congenitalঅনমালি

drnazmul #ডাঃ_নাজমুল#Hypospadias

হার্নিয়া #হার্নিয়া_লক্ষণ #মুসলমানি #খতনা #অন্ডকোষ #হার্শপ্রাং #Hirschsprungdisease

রমজান মাসে কি খাবেন কি এড়িয়ে চলবেন

রমজান মাসে কি খাবেন কি এড়িয়ে চলবেন

রমজান মাসে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া এবং কিছু খাবার এড়িয়ে চলা গুরুত্বপূর্ণ, যাতে সারাদিন শক্তি ধরে রাখা যায় এবং শরীর সুস্থ থাকে।

সেহরিতে কী খাবেন:

✅ প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার: ডিম, দই, মুরগি, মাছ, ডাল, বাদাম ইত্যাদি।
✅ স্লো-ডাইজেস্টিং কার্বোহাইড্রেট: ওটস, ব্রাউন ব্রেড, লাল চালের ভাত, ।
✅ ফাইবারসমৃদ্ধ খাবার: ফলমূল (আপেল, কলা, খেজুর), শাকসবজি, চিয়া সিড।
✅ পর্যাপ্ত পানি: সেহরিতে প্রচুর পানি ও হালকা শরবত পান করুন।

🚫 সেহরিতে যা এড়িয়ে চলবেন:
❌ অতিরিক্ত লবণযুক্ত ও মসলাদার খাবার (ঝাল, ভাজা-পোড়া)।
❌ চিনি বেশি আছে এমন খাবার (মিষ্টি, সফট ড্রিংক)।
❌ চা ও কফি (এগুলো শরীর ডিহাইড্রেট করে)।

ইফতারে কী খাবেন:

✅ খেজুর ও পানি: খেজুর দ্রুত শক্তি দেয় ও হজমে সহায়ক।
✅ ফল ও শরবত: তরমুজ, কমলা, লেবুর শরবত, ডাবের পানি।
✅ হালকা ও স্বাস্থ্যকর খাবার: ছোলা, দই-চিঁড়া, সালাদ, স্যুপ, গ্রিলড মুরগি বা মাছ।

🚫 ইফতারে যা এড়িয়ে চলবেন:
❌ বেশি তেল-চর্বিযুক্ত ভাজাপোড়া (সমুচা, পুরি, পেঁয়াজু)।
❌ অতিরিক্ত মিষ্টি (সিরা-ভেজানো মিষ্টি, সফট ড্রিংক)।
❌ অতিরিক্ত ঠান্ডা পানীয় (এটি হজমে সমস্যা তৈরি করতে পারে)।

তারাবিহ ও রাতের খাবার:

✅ হালকা ভাত, রুটি, সবজি, মাছ বা মুরগি খেতে পারেন।
✅ প্রচুর পানি পান করুন।

রমজানে স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে সুষম ও পরিমিত খাবার খাওয়া উচিত, যাতে সারাদিন শক্তি থাকে ও সুস্থ থাকা যায়!

ডাঃ এস, এম, নাজমুল ইসলাম
সহকারী অধ্যাপক
বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইন্সটিটিউট।
Hotline: 01777331511
www.drnazmulislam.com

শিশুসার্জন #শিশুসার্জারি #শিশু_ইউরোলজি #best_pediatric_surgeon #সেহরী #ইফতার #রোজা #রমজান

nazmul #শিশু_হাসপাতাল

drnazmul #ডাঃ_নাজমুল

Mucus retention cyst (mucocele)

Mucus retention cyst (mucocele)

Mucus retention cyst (mucocele) অপারেশন করার সময় নির্ভর করে এর লক্ষণ ও জটিলতার উপর। নিচের পরিস্থিতিতে অপারেশন করানো উচিত:

১. যদি সিস্ট বড় হয় বা বারবার হয়
• যদি সিস্টের আকার ধীরে ধীরে বড় হতে থাকে।
• যদি বারবার একই জায়গায় সিস্ট হয়।

২. যদি ব্যথা বা অস্বস্তি হয়
• খাবার খেতে বা কথা বলতে সমস্যা হয়।
• চাপ দিলে ব্যথা বা সংবেদনশীলতা অনুভূত হয়।

৩. যদি নিজে নিজে না সারে
• সাধারণত ছোট মিউকোসিল কয়েক সপ্তাহের মধ্যে নিজে নিজে সেরে যায়।
• কিন্তু যদি কয়েক মাস ধরে না সারে, তাহলে অপারেশন লাগতে পারে।

৪. যদি ফেটে গিয়ে আবার ফিরে আসে
• কিছু ক্ষেত্রে সিস্ট ফেটে যেতে পারে, কিন্তু পরে আবার দেখা দেয়।
• এ ধরনের পুনরাবৃত্তির ক্ষেত্রে অপারেশন করা ভালো।

৫. যদি সিস্টের কারণে সংক্রমণ হয়
• যদি সিস্ট থেকে পুঁজ বের হয় বা লালচে হয়ে যায়।
• মুখে অন্য জায়গায় সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি থাকলে।

অপারেশন পদ্ধতি:
• সাধারণত লোকাল অ্যানেস্থেশিয়া দিয়ে এটি কেটে ফেলে দেওয়া হয়।
• পুরো সিস্ট এবং আশেপাশের ক্ষতিগ্রস্ত লালা গ্রন্থি সরিয়ে ফেলা হয়, যাতে এটি আবার না হয়।

ডাক্তারের পরামর্শ:
যদি আপনার মিউকোসেল দীর্ঘদিন ধরে থেকে যায় বা সমস্যা সৃষ্টি করে, তাহলে একজন শিশু সার্জারি বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করা উচিত।

ডাঃ এস, এম, নাজমুল ইসলাম
সহকারী অধ্যাপক
বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইন্সটিটিউট।
Hotline: 01777331511
www.drnazmulislam.com

পোস্টেরিয়র ইউরেথ্রাল ভালভ (PUV)

প্রসাবের রাস্তায় পর্দা। posterior urethral valve

পোস্টেরিয়র ইউরেথ্রাল ভালভ (PUV) কী ❓️

পোস্টেরিয়র ইউরেথ্রাল ভালভ (PUV) হলো একটি জন্মগত সমস্যা, যা পুরুষ শিশুদের মধ্যে সাধারণত দেখা যায়। এটি মূত্রনালির একটি প্রতিবন্ধকতা বা ব্লকেজ, যা ব্লাডারে মূত্র জমা হওয়ার কারণ হতে পারে। মূত্রনালির পিছনের অংশে (পোস্টেরিয়র) এক ধরনের পাতলা টিস্যু বা ঝিল্লি তৈরি হয়, যা মূত্র প্রবাহকে বাধা দেয়।

পোস্টেরিয়র ইউরেথ্রাল ভালভ (PUV) কেন হয়?

পোস্টেরিয়র ইউরেথ্রাল ভালভ (PUV) একটি জন্মগত ত্রুটি, যা গর্ভাবস্থার সময় বিকশিত হয়। এটি তখন ঘটে যখন ভ্রূণের বিকাশের সময় পুরুষ শিশুর মূত্রনালির (ইউরেথ্রা) পিছনের অংশে (পোস্টেরিয়র) একটি পাতলা ঝিল্লি বা টিস্যু গঠিত হয়, যা প্রস্রাবের স্বাভাবিক প্রবাহকে বাধা দেয়।

PUV কেন হয় তার সঠিক কারণ এখনও পুরোপুরি পরিষ্কার নয়। তবে, এটি সাধারণত ভ্রূণের স্বাভাবিক বিকাশের সময় জিনগত বা অজানা কারণে ত্রুটির কারণে ঘটে। কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে এটি কিছু ক্ষেত্রে পরিবারের মধ্যে দেখা যেতে পারে, তবে সাধারণত এটি একক এবং বিক্ষিপ্ত ঘটনা হিসেবে ঘটে।

এর সঠিক কারণ সম্পর্কে গবেষণা চলছে, তবে এটি বোঝা যায় যে এটি মূলত গর্ভের ভেতরে ইউরিনারি ট্র্যাক্টের অস্বাভাবিক গঠনের কারণে হয়।

PUV-এর লক্ষণসমূহ:

  • প্রস্রাব করতে কষ্ট হওয়া বা বেগ অনুভব করা
  • প্রস্রাবের ধারা ক্ষীণ বা ছেঁড়া হওয়া
  • মূত্রথলির অস্বাভাবিক বৃদ্ধি
  • বার বার প্রস্রাবের সংক্রমণ (ইউটিআই)
  • পেটের নিচে বা কোমরের ব্যথা
  • শিশুদের মধ্যে প্রস্রাবের সময় কান্না করা বা অস্বস্তি প্রকাশ করা

চিকিৎসা:

PUV এর চিকিৎসা সাধারণত সার্জারির মাধ্যমে করা হয়। এক্ষেত্রে ইউরোলজিস্ট ভালভের বাধা দূর করার জন্য সিস্টোস্কোপির মাধ্যমে ভালভ কেটে ফেলতে পারেন। এছাড়া, মূত্রথলির চাপ কমাতে এবং কিডনির কার্যকারিতা বজায় রাখতে মেডিকেল ম্যানেজমেন্টও প্রয়োজন হতে পারে।

PUV একটি গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা, তাই সময়মত সঠিক চিকিৎসা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

ডাঃ এস, এম, নাজমুল ইসলাম
শিশু বিশেষজ্ঞ সার্জন ও শিশু ইউরোলজিসট
সহকারী অধ্যাপক
বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইন্সটিটিউট।
Hotline: 01777331511

যে খাবার খেলে কিডনীর ক্ষতি হয়

কিডনির সঠিক কাজ বজায় রাখতে, কিছু খাবার ও পানীয় পরিমিতভাবে খাওয়া উচিত। অতিরিক্ত বা নিয়মিতভাবে এসব খাবার গ্রহণ করলে কিডনির ক্ষতি হতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে:

1. অতিরিক্ত লবণ: বেশি লবণযুক্ত খাবার কিডনিতে চাপ সৃষ্টি করে, যা উচ্চ রক্তচাপ এবং কিডনির ক্ষতির কারণ হতে পারে।

2. প্রসেসড ফুড: প্রসেসড বা প্যাকেটজাত খাবারে অতিরিক্ত লবণ ও রাসায়নিক থাকে, যা কিডনির জন্য ক্ষতিকর।

3. মিষ্টি খাবার ও পানীয়: বেশি চিনি গ্রহণ করলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ে, যা কিডনির ক্ষতি করতে পারে।

4. লাল মাংস: বেশি পরিমাণে লাল মাংস খাওয়া কিডনিতে প্রোটিনের চাপ বাড়ায় এবং ক্রনিক কিডনি রোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

5. অ্যালকোহল: অতিরিক্ত মদ্যপান কিডনির কার্যক্ষমতা হ্রাস করতে পারে।

6. কৃত্রিম মিষ্টি ও স্ন্যাকস: এই ধরনের খাবারে ফসফেট এবং অ্যাডিটিভ থাকে, যা কিডনির জন্য ক্ষতিকর।

7. সফট ড্রিঙ্ক ও এনার্জি ড্রিঙ্ক: এগুলোতে অতিরিক্ত চিনি ও ক্যাফেইন থাকে, যা কিডনির উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।

8. উচ্চ প্রোটিনযুক্ত ডায়েট: প্রোটিনের অতিরিক্ত পরিমাণ গ্রহণ কিডনিতে চাপ সৃষ্টি করতে পারে।

স্বাস্থ্যকর কিডনি বজায় রাখতে, পানি বেশি পান করুন, ফল ও সবজি বেশি খান এবং প্রয়োজন হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

ডাঃ এস, এম, নাজমুল ইসলাম

এমবিবিএস, এমএস( শিশু সার্জারী)

পেডিয়েট্রিক ইউরোলজি ট্রেনিং(ইন্ডিয়া)

ইউরোলজি ট্রেনিং (BSMMU)

নবজাতক, শিশু-কিশোর সার্জারী বিশেষজ্ঞ

সহকারী অধ্যাপক

বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইন্সটিটিউট।

Hotline: 01777331511

www.drnazmulislam.com

#শিশু_সার্জন #শিশু_সার্জারি #শিশু_ইউরোলজি