শিশুর বমি: কারণ, করণীয় ও প্রতিকার

শিশুর বমি: vomiting

শিশুর বমি সাধারণত স্বাভাবিক বিষয় হতে পারে, তবে কখনো কখনো এটি গুরুতর সমস্যার লক্ষণও হতে পারে।

🟠 শিশুর বমির সাধারণ কারণ:

১. অতিরিক্ত খাওয়া বা গ্যাসের সমস্যা
• নবজাতক বা ছোট শিশু যদি বেশি খেয়ে ফেলে, তাহলে দুধ বা খাবার হজম করতে না পেরে বমি করতে পারে।
• খাবারের পরপরই নড়াচড়া করলে বা ঝাঁকুনি লাগলে বমি হতে পারে।

২. ভাইরাস বা সংক্রমণ (Viral Gastroenteritis)
• শিশুর পেটে ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ (পেটের ইনফেকশন) হলে বমি হতে পারে।
• সাধারণত এই অবস্থায় পাতলা পায়খানা (ডায়রিয়া), জ্বর ও পেট ব্যথা দেখা দেয়।

3. খাদ্যে অ্যালার্জি বা অসহিষ্ণুতা
• কিছু শিশু গরুর দুধ, ডিম, সয়াবিন বা অন্যান্য খাবারের প্রতি সংবেদনশীল হতে পারে, যা বমির কারণ হতে পারে।

4. ফিডিং সমস্যা (Reflux বা GERD)
• ছোট শিশুদের ক্ষেত্রে পেটে থাকা খাবার ফিরে গলায় উঠে আসতে পারে, যাকে গ্যাস্ট্রোইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স (GERD) বলা হয়।

5. খাদ্যে বিষক্রিয়া (Food Poisoning)
• যদি শিশুর খাবারে ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাস থাকে, তবে বমির সঙ্গে ডায়রিয়া ও পেট ব্যথা হতে পারে।

6. অন্যান্য কারণ:
• জ্বর ও সর্দি-কাশির সময় শিশুর বমি হতে পারে।
• প্রস্রাবের ইনফেকশন, Septicemia, Meningitis
• অন্ত্রের বাঁধা (Intestinal Obstruction): যদি বমির রঙ সবুজ বা রক্ত মিশ্রিত হয়, তবে এটি মারাত্মক সমস্যা হতে পারে।
• Appendicitis

🟢 শিশুর বমি হলে করণীয়:

✅ সাধারণ বমির জন্য (যদি শিশুর অবস্থা গুরুতর না হয়)

✔ শিশুকে হাইড্রেট রাখুন:
• ORS (ওরাল রিহাইড্রেশন সলিউশন) বা স্যালাইন পানি দিন।
• বুকের দুধ খাওয়ান (যদি নবজাতক হয়)।

✔ খাবার ধীরে ধীরে দিন:
• চিনি ছাড়া ডাল বা ভাতের মাড় খাওয়ানো যেতে পারে।
• মসলা ও চর্বিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন।

✔ শিশুকে বিশ্রামে রাখুন:
• অতিরিক্ত নড়াচড়া করলে বমির প্রবণতা বাড়তে পারে।

✔ ধাপে ধাপে তরল দিন:
• বমি বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত খুব বেশি খাবার বা পানি একসাথে খাওয়াবেন না।

❌ যে বিষয়গুলো এড়িয়ে চলা উচিত:

🚫 একবারে অনেক খাবার খাওয়াবেন না।
🚫 বাজারের এন্টিবায়োটিক বা বমি বন্ধের ওষুধ ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া দেবেন না।

🔴 কখন ডাক্তার দেখাবেন?

👉 শিশুর বমির পাশাপাশি নিচের যেকোনো লক্ষণ থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যান:
• শিশু অতিরিক্ত দুর্বল বা পানি শূন্য (ডিহাইড্রেশন) হয়ে যাচ্ছে (শুকনো ঠোঁট, কান্নায় জল না আসা, প্রস্রাব কম হওয়া)।
• বমির রঙ সবুজ বা রক্ত মিশ্রিত।
• টানা ১২-২৪ ঘণ্টা ধরে বারবার বমি হচ্ছে।
• শিশুর পেট ব্যথা বেশি হচ্ছে বা পেট ফুলে যাচ্ছে।
• উচ্চ জ্বর (১০২°F বা তার বেশি) আছে।

🔹 উপসংহার:

✅ শিশু যদি সাধারণ কারণে বমি করে, তবে ওআরএস, পর্যাপ্ত পানি ও হালকা খাবার দিলেই ভালো হয়ে যায়।
🚨 কিন্তু যদি বমির রঙ অস্বাভাবিক হয়, দীর্ঘসময় ধরে চলে, বা অন্যান্য গুরুতর লক্ষণ থাকে, তাহলে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।

ডাঃ এস, এম, নাজমুল ইসলাম
পেডিয়েট্রিক ইউরোলজি ট্রেনিং(ইন্ডিয়া)
ইউরোলজি ট্রেনিং (BSMMU)
নবজাতক, শিশু-কিশোর সার্জারী বিশেষজ্ঞ
সহকারী অধ্যাপক
বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইন্সটিটিউট।
Hotline: 01777331511

চেম্বারঃ
অ্যালায়েন্স হসপিটাল লিমিটেড
২৪/৩ খিলজী রোড (রিং রোড)
শ্যামলী, ঢাকা-১২০৭

#শিশু_সার্জন #শিশু_সার্জারি #শিশু_ইউরোলজি
#day_care_surgery #circumcision #best_pediatric_surgeon #Hypospadiascare
#nazmul #খতনা #খাতনা #হাইপোসপেডিয়াস #শিশু_হাসপাতাল#congenital_অনমালি
#drnazmul #ডাঃ_নাজমুল#Hypospadias
#হার্নিয়া #হার্নিয়া_লক্ষণ #মুসলমানি #খতনা #অন্ডকোষ #hirschsprungsdisease #বমি #vomiting

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *